চারদিকে ধু-ধু মরুভূমি ছাড়া আর কিছুই নেই। এমনই এক মরুভূমির মাঝে দেখা মিলল রহস্যময় এক ধাতবদণ্ডের। রাতারাতি কে বা কারা রেখে গেছে এই ধাতবদণ্ড, তা এখনো সবার অজানা।
এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মিলেছিল এ ধরনের ধাতবদণ্ডের। তখনও জানা যায়নি, এর পেছনে কারা। কেউ কেউ বলেছিল, এলিয়েনরা হয়তো ওই ধাতবদণ্ড বসিয়েছে।
একটি জায়গায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে গিয়েছিল পুলিশ। তখনই তারা রহস্যময় ওই ধাতবদণ্ড দেখতে পায়। পরে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে পোস্ট করে।
সেখানে বলা হয়, আমরা অনেক উদ্ভট জিনিস দেখেছি। কিন্তু দেখুন এটা!
বিবিসি জানিয়েছে, লাস ভেগাস পুলিশ প্রথম এই ধাতবদণ্ডটি দেখতে পায়। লাস ভেগাস ভ্যালির উত্তর প্রান্তে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানের সময় ধাতবদণ্ডটি চোখে পড়ে তাদের।
এর আগে ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একই ধরনের বেশ কয়েকটি ধাতবদণ্ড দেখা গেছে। লাস ভেগাস থেকে উত্তরে এক ঘণ্টার দূরত্বে নেভাডা মরুভূমির একটি হাইকিং এলাকায় এবার দেখা মিলল এই ধাতবদণ্ডের।
এটি দেখতে উঁচু, চারকোণা ও আয়নার মতো চকচকে। ফলে এতে আশপাশের সব কিছু প্রতিফলিত হয়। এর আগের ধাতবদণ্ডগুলোও দেখতে অনেকটা এটার মতোই ছিল।
মার্কিন কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা ‘২০০১: আ স্পেস ওডিসি’-তে এ ধরনের একটি দণ্ড দেখানো হয়। ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া ওই সিনেমা পরিচালনা করেছেন স্ট্যানলি কুবরিক। ওই সিনেমায় দেখানো হয়, কালো রঙের দণ্ডটি অদেখা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী তৈরি করেছিল এবং পৃথিবীতে স্থাপন করেছিল। সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি করা হয় আর্থার সি ক্লার্কের ছোট গল্প ‘দ্য সেন্টিনেল’ অবলম্বনে।
প্রায় চার বছর আগে প্রথমবার এ ধরনের ধাতবদণ্ডের দেখা মেলে। ২০২০ সালের নভেম্বরে উটাহ মরুভূমির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় একটি হেলিকপ্টারের পাইলট এ ধরনের ধাতবদণ্ড দেখতে পান। কাছাকাছি সময়ে রোমানিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং ইংলিশ চ্যানেলের দ্বীপ ‘দ্য আইল অব উইটে’তে একই ধরনের ধাতবদণ্ডের দেখা মেলে।
কে বা কারা এমন ধাতবদণ্ডের পেছনে থাকতে পারে, তা নিয়ে তখনও বেশ জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনও ভাবা হচ্ছিল, এটি হয়তো কোনো শৈল্পিক স্থাপনা। যদিও শেষ পর্যন্ত কেউই এমন দাবি নিয়ে সামনে আসেনি। নেভাডায় পাওয়ার আগে গেল মার্চে ওয়েলসের একটি পাহাড়ের চূড়ায়ও একই ধরনের ধাতবদণ্ড দেখা মিলেছিল। কিন্তু চার বছরের এই রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।