টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গেল বছর সাগরের তলদেশে বিধ্বস্ত হয় টাইটান সাবমারসিবল। তখন বিশ্বে এ নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়।
কিন্তু এবার আরেকজন মার্কিন ধনকুবের সাবমেরিন নিয়ে সাগরের তলদেশে যেতে যান। তার ইচ্ছা দুজন আরোহীর একটি সাবমারসিবলে করে টাইটানিকের সমান গভীরতায় যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওভিত্তিক রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী ল্যারি কনরের সাবমারসিবল নিয়ে সাগরের গভীরে যাওয়ার খায়েশ জেগেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিল জার্নালের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
জার্নালকে কনর বলেন, সাগর চরম শক্তিশালী হলেও আমি বিশ্বের মানুষকে দেখাতে চাই, এটা দারুণ এবং উপভোগ্য। আর ঠিক পথে এগোলে এটা জীবন পরিবর্তন করে দেওয়ার মতো।
নিজের ইচ্ছা পূরণে সাবমেরিন উৎপাদনকারী ট্রাইটন সাবমেরিনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইওর প্যাট্রিক লাহের সঙ্গে কাজ করছেন কনর। এই জুটি দেখাতে চান এ ধরনের ভ্রমণ বারবার করা সম্ভব।
গেল বছরের জুনে টাইটানিক দেখতে গিয়ে সাগরের তলদেশে ধ্বংস হয় ওশেনগেটের ডুবোযান টাইটান। এতে ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাশসহ আরোহী পাঁচজনই নিহত হন।
টাইটান ধ্বংস হওয়ার কয়েক দিন পর লাহেকে নিজেই ফোন দেন কনর। পৃথিবীর গভীরতম পরিখা মারিয়ানা ট্রেঞ্চে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে কনরের।
এই ধনকুবের বলেন, তিনি ট্রাইটন ৪০০০/২ অ্যাবিসাল এক্সপ্লোরাল নামে একটি ডুবোযানে করে সাগরের তলদেশে যেতে যান। সাগরের ৪ হাজার মিটার নিচে যাওয়ার লক্ষ্য থেকেই ডুবোযানের নামের সঙ্গে ৪০০০ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দুই আরোহীর এই ডুবোযান কবে সাগরের গভীরে যাবে, সেটা অবশ্য বলেননি কনর।
টাইটানের দুর্ঘটনার আগে ও পরে ওশেনগেটের কঠোর সমালোচক ছিলেন লাহে। তার অভিযোগ ছিল, টাইটানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে। এমনকি মানুষজনকে টাইটানে চড়াতে স্টকটন রাশের অ্যাপ্রোচকে ‘অনেকটা শিকারি’ বলে উল্লেখ করেন লাহে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অন্য কোম্পানিগুলোও সে সময় তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
গেল বছরের ১৮ জুন পাঁচজন আরোহী নিয়ে উত্তর আটলান্টিকের গভীর তলদেশে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিল ডুবোযান টাইটান।
১১২ বছরের বছর আগে নিমজ্জিত টাইটানিক দেখতে সাগরে ডুব দেওয়ার ৯০ মিনিট পর সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে পানির প্রচণ্ড চাপে টাইটান ধ্বংস হয়ে যায়। এতে সলিল সমাধি হয় পাঁচজনের।
তারপরও অতি ধনীদের সমুদ্রে বিলাসের স্বপ্ন কোনোভাবে যেন থামছে না।
মন্তব্য করুন