বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু কমে যাওয়ার ভয়ে যখন প্রায় সব তারকারাই ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিপক্ষে চুপটি মেরে আছেন, তখন ব্যতিক্রম মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ। পৃথিবীর বাঘা বাঘা পরিচালক, প্রযোজক এবং মুভি সাইনিং এজেন্সিগুলোর চোখের সামনেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নিজের সমর্থন জানিয়ে গেলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন এই সুপার মডেল।
বুঝিয়ে দিলেন, সত্যের পক্ষে বলতে বিজ্ঞাপন আর ব্র্যান্ড ভ্যালুর থোড়াই কেয়ার করেন তিনি।
সম্প্রতি কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছিলেন বেলা হাদিদ। আর সেখানেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ দিয়ে বানানো পোশাকে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছেন তিনি।
ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে বেলা যেন দ্যুতি ছড়ালেন স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের দূত হয়ে !
এখানেই শেষ নয়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দূতিয়ালি করে বেলা হাদিদ যেসব ছবি তুলেছেন, সেগুলো আবার শেয়ারও করেছেন ইনস্টাগ্রামে। পোশাকের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন ফরেভার’। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ দিয়ে বানানো বেলার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ডিজাইনার জুটি মাইকেল এবং হুশি।
এদিকে বেলার সাহসী এই উদ্যোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে একজন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনি শিকড়ের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ফ্যাশনের সঙ্গে বিশ্ববাসীকে অমূল্য বার্তা দিয়ে বেলা নিজের শিকড়ের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।’
ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা নিয়ে সবসময়ই সরব বেলা হাদিদ ও তার সুপার মডেল বোন জিজি হাদিদ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তো বটেই, মডেলিং জগতেও চাপে পড়তে হয়েছে তাঁদের।
কিন্তু ফিলিস্তিনি রক্তের দায় মেটাতে প্রায়ই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের দেশের পক্ষে সরব থাকেন তারা। জানা গেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ মানুষদের জন্য মোটা অঙ্কের অনুদানও পাঠিয়েছেন দুই বোন।
বেলা হাদিদ ও জিজি হাদিদের বাবা ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মোহামেদ হাদিদ। তাদের মা ইয়োলান্ডা হাদিদ একজন মার্কিন নাগরিক। মডেলিংয়ের দুনিয়ায় মা ও বোন জিজি হাদিদ বেশ প্রভাবশালী।
বেলার পুরো নাম ইসাবেলা খাইরিয়াহ হাদিদ। ক্যারিয়ারে ১৯ বার ভোগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে স্থান করে নেওয়া বেলা ২০২২ সালে ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিল থেকে ‘মডেল অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পান। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান করে নেন বেলা হাদিদ।
মন্তব্য করুন