গাজায় ভাসমান জেটি নির্মাণে কাজ করছে বিপুলসংখ্যক মার্কিন সেনা। তবে এসব সেনার ওপর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলার পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানিয়েছেনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। শুক্রবার (০৩ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, হামাসের মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি এমন কোনো ইংগিত পাননি।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধ চলছে। এখানে অনেক কিছু হতে বা ঘটতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, আমি মঞ্চে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করি না। তবে আমি বর্তমানে এমন কোনো ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না যে, এটি করার কোনো অভিপ্রায় তাদের রয়েছে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল দ্য গার্ডিয়ান ও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১ হাজার মার্কিন সেনা এ জেটি নির্মাণে কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধজাহাজে করে নির্মাণসামগ্রী নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা খালাসে ভূমধ্যসাগর থেকে উপকূলে যাওয়ার একটি পথ তৈরি করা হচ্ছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে সেনা পাঠালেও তাদের গাজার মাটিতে পা ফেলতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে স্থল অংশের কাজ করা হবে।
সংবাদমাদ্যম জানিয়েছে, আগামী মে মাসেই সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপরই এটি ব্যবহার শুরু করতে পারবে বিভিন্ন পক্ষ।
সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশ সময় ধরে চলা এই খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দরটি চালু হলে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রাথমিকভাবে ৯০টি ট্রাক সেখান থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে৷ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ১৫০টি ট্রাক সেই বন্দরে ভেড়া জাহাজ থেকে ত্রাণ খালাস করবে।
তবে এতেও ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকির ঝামেলা থাকছে। ইসরায়েলি সেনারা ত্রাণসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উপযুক্ত মনে করলেই তা খালাসের অনুমতি মিলবে।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল চায় না হামাস ত্রাণ পাক। আবার ত্রাণের নামে অস্ত্র যেন গাজায় না ঢুকে সে ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বেশ সতর্ক।
মন্তব্য করুন