ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়ার আবেদনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে রাষ্ট্রটির বৈশ্বিক স্বীকৃতির প্রক্রিয়া ফের থমকে গেল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐকমত্য ছাড়াই বৃহস্পতিবারের ওই সভা শেষ হয়। তবু ভোটাভোটির আশা করছে ফিলিস্তিন।
২০১২ সাল থেকে বিশ্ব সংস্থায় পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পাওয়া ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য চেষ্টা করে আসছে। এ স্বীকৃতি অঞ্চলটিকে পূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার যে কোনো অনুরোধ প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এরপর সেটি সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হবে।
নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের মিত্রের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দিতে ঘোর বিরোধী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই মাসের শুরুতে বলেছিল, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জাতিসংঘে নয় বরং বিরোধমান পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।
গত বছর হামাসের হামলার জেরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনের পর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জোরাল হয়। মুসলিম বিশ্ব ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হচ্ছে। সে সঙ্গে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ প্রাপ্তির বিষয়ে নতুন করে লবিং শুরু হয়।
জানা গেছে, এ ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অ্যাডহক কমিটি সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সভা করে। কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
একটি সূত্র বলছে, পরিষদের সদস্যরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। কারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে ভোটের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে আলজেরিয়া। এতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিতে পারবে।
এ ভোটে জিতলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ইসরায়েলের পরম বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
মন্তব্য করুন