বিশ্বের কেউ আর যুদ্ধ চায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বিকেলে ইসরায়েলের অনুরোধে ইরানের হামলা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্ব স্ব দেশের অবস্থানের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েল ও ইরানের রাষ্ট্রদূতরা।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্য এখন খাদের কিনারে। এ অঞ্চলের মানুষ একটি পূর্ণমাত্রার ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মুখোমুখি। তারা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাদের খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে আনার এখনই সময়। আর এ দায়িত্ব যৌথভাবে সবার।
তিনি বলেন, এমন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না যাতে করে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দিকের বড় বড় সামরিক পক্ষগুলো সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে গাজার বেসামরিক নাগরিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। তাই এখনই সময়, সবাইকে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে আনার।
গুতেরেস বলেন, কোনোভাবেই যাতে ইরান-ইসরায়েল-গাজা সংঘাত আর উসকে না যায়, সেটি প্রতিরোধে সবাইকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপালনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
এ সময় গাজার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, সেখানে মানবিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এ জন্য সব জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বাধাহীনভাবে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে দেওয়া দরকার। এ সময় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সংঘাত বন্ধ ও লোহিত সাগরে নৌযান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
গুতেরেস বলেন, বিশ্বে শান্তি স্থাপনে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যৌথ দায়িত্ব রয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি-নিরাপত্তার অবস্থা অবনতি হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বা বিশ্বের কেউ আর যুদ্ধ চায় না বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই গতকাল রোববার রাতে ইসরায়েলজুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবার রাতের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন