ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একটি প্রস্তাব প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখেছে। মূলত ইসরায়েলের প্রধান মিত্র ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো না দেওয়ায় সোমবার প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। যদিও এর আগে তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের ভোটো প্রদান থেকে বিরত থাকাকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নীতিগত অবস্থানে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পরিষদের অস্থায়ী ১০ সদস্য। ভোটাভুটিতে চার স্থায়ী সদস্য দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এবং ১০ অস্থায়ী সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও কোনো ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। তাই এবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আলোর মুখে দেখেছে। যুদ্ধবিরতি ছাড়াও গাজায় হামাসের হাতে বন্দি সব ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজা যুদ্ধ ঘিরে ইসরায়েলি নেতৃত্বের প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে হতাশ হয়ে পড়ছেন, তা নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ফুঠে উঠেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিগত পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও তেমন খুশি হতে পারছেন না ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের বিষয়টি ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু প্রতীকী পদক্ষেপ ও বাগাড়াম্বর করলেই হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আদম শাপিরো বলেছেন, এটি একটি পরিবর্তন। তবে এর মাধ্যমে ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র হস্তান্তর বন্ধ হবে না। আর শেষ পর্যন্ত এটিই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন