ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক এক মার্কিন জেনারেল। সম্প্রতি ওয়াগনারপ্রধানের অন্তর্ধানের খবর চাউর হওয়ার সময় যখন সব গণমাধ্যমে হইচই চলছে তখন তিনি এ নিয়ে মুখ খুললেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কেভিন রায়ান বুধবার জানান, ‘আমি প্রিগোজিনকে হত্যার কোনো প্রমাণ দেখিনি। ‘ওয়াগনারপ্রধানকে আটকে রাখা হয়েছে বলে যে খবর প্রচার হচ্ছে সেটাও তিনি সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘কী লাভ তাকে মেরে ফেলে যদি না সেটার ঘোষণা দেওয়া হয়।’
রায়ান যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে রাশিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
রায়ান তার ব্যাখায় জানান, ওয়াগনারের বিদ্রোহে পুতিনকে ‘দুর্বল’ অবস্থায় দেখা গেছে। যদি প্রিগোজিনকে জেলে ভরা হতো কিংবা মেরে ফেলা হতো তাহলে এটা জনগণকে জানালে তা পুতিনকে আরও ‘শক্তিশালী’ দেখাত।
তিনি বলেন, ‘এমনটা হলে পুতিন যে এখনো সবকিছুর নিয়ন্ত্রণে আছেন তা বোঝা যেত। কিন্তু এমন বড় নাম বা বড় ব্যক্তিত্বকে শুধু হুমকি দেওয়ার জন্য মেরে ফেলা হয় না।’
‘এখনো প্রিগোজিন কোথায় আছেন তা সমন্ধে কিছুই জানা যায়নি। তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন। আমরা এদিক সেদিক একটা দুটা খবর পাচ্ছি। কিন্তু পুতিন বা প্রিগোজিন নিজে কিছুই আমাদের জানাচ্ছেন না।’
এর আগে দিমিত্রি পেশকভ পুতিনের সঙ্গে ২৯ জুন প্রিগোজিনের সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন। যদিও সেই সাক্ষাতের কোনো ভিডিও বা ছবি প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়নি।
উল্লেখ্য, এখনো প্রিগোজিন কোথায় আছে তা জানা যায়নি। তবে ইতোমধ্যে মার্কিন এক জেনারেল তার মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেলের নাম রবার্ট আব্রামস। এখন তিনি এবিসি নিউজের কন্ট্রিবিউটর। এবিসি নিউজকে তিনি বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন হলো—ওয়াগনারপ্রধানকে আর কখনো জনসমুক্ষে দেখা যাবে কিনা সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে।
রবার্ট আব্রামস বলেন, হয় তিনি আত্মগোপনে আছেন, না হয় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, অথবা তার সঙ্গে অন্য কিছু ঘটেছে। কিন্তু তাকে আর দেখতে পাব কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
পুতিনের ক্ষমতাকে এত বড় চ্যালেঞ্জ জানানোর পর প্রকৃতই প্রিগোজিন বেঁচে আছে বলে মনে করেন কিনা—এমন প্রশ্নে রবার্ট আব্রামস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না তিনি বেঁচে আছেন। যদি বেঁচেও থাকেন তবে তাকে কোনো জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও চার তারকার সাবেক এই জেনারেল পুতিনের সঙ্গে প্রিগোজিনের বৈঠক নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর আগে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, ২৯ জুন প্রিগোজিনের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয়েছে।