জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর ড্রোন হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত বা বৃহত্তর যুদ্ধ চান না তবে জর্ডানে যে হামলা হয়েছে তার জবাব দেওয়া হবে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন বলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং ‘এর জবাব দেওয়া হবে’। আমি মনে করি না আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত যুদ্ধের প্রয়োজন।
ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। সিরিয়ার সীমান্তের কাছে গত রোববারের সেই হামলায় আরও ৪০ জনেরও বেশি মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত শুরুর পর ওই অঞ্চলে এই প্রথম কোনো মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নতুন যেসব সহিংসতা দেখা গেছে, তাতে অস্থির এই অঞ্চলে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ বেড়েছে।
রোববারের সেই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং ‘এর জবাব দেওয়া হবে’। এমন অবস্থায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না।
জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ’। হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কি না তাও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (ইরানকে) এই অর্থে দায়ী করি, যারা এই হামলা করেছে তারা (ইরান) তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে।’
অবশ্য জর্ডানের সেই সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
এদিকে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় ‘কয়েকটি স্তরের পন্থা’ বেছে নিতে পারে।
ফ্লোরিডায় নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইনে যোগদানে বাইডেনের সফরের জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধু একটি পদক্ষেপ নয়, সম্ভাব্য একাধিক পদক্ষেপ থাকতে পারে... সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো সামনে আসতে পারে।’
কিরবি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের সৈন্য এবং আমাদের অবকাঠামোগুলো রক্ষা করার জন্য এবং আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য যা করতে হবে তা করবেন।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও অবশ্য বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন বলেছেন, আমরা (হামলার) প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া বহু-স্তরীয় হতে পারে, পর্যায়ক্রমে আসতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলতে পারে।’
মন্তব্য করুন