গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে বিরোধী নেতাকর্মীদের নিশানা করার অভিযোগে ইরানের একটি নেটওয়ার্কের বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের অভিযোগ, জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দায়ী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তেহরান বলেছে, এসব গোষ্ঠী স্বাধীনভাবে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে তেহরানের কোনো হাত নেই।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নেটওয়ার্ক ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। এর প্রধান হলেন মাদক পাচারকারী নাজি ইব্রাহিম শরিফি-জিন্দাশতি। তিনিসহ এ গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ১১ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেছেন, বিরোধীদের দমনে ইরান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টা তাদের গভীর নিরাপত্তাহীনতা এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশটির অভ্যন্তরীণ দমন-পীড়ন প্রসারিত করার প্রয়াসকে সামনে নিয়ে আসে। এই গ্রুপটি কাউকে ইরানি সরকারের বিরোধী মনে করলেই বিভিন্ন অঞ্চলে গুপ্তহত্যা ও অপহরণ অভিযান পরিচালনা করেছে।
অন্যদিকে ব্রিটেনের মাটিতে সাংবাদিকদের হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা এবং তেহরান সংশ্লিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে লন্ডন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটেনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান ও তাদের পক্ষে কাজ করা অপরাধী চক্র। তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি—আমরা এই হুমকি সহ্য করব না।
মন্তব্য করুন