আবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ৮ ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য ইলেক্ট্রনিক পণ্য ক্রয়ে সম্পর্কিত বেলজিয়াম কোম্পানি ও বেলারুশভিত্তিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিদেশী সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ট্রেজারি অফিস জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় বেলজিয়ামভিত্তিক হানস ডি গেটেরেসহ নয় প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ব্যক্তিই হলো রাশিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, সুইডেন, হংকং ও নেদারল্যান্ডের। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য সামরিক সরঞ্জাম কেনাবেচার কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একই সময়ে মার্কিন বিচার বিভাগ হানস ডি গেটেরের বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ কোম্পানিসহ পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তালিকাভুক্ত করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া এবং তারা আমেরিকায় কোনো ব্যবস্যা পরিচালনা করতে পারবেন না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মেইলে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলেও তাতে সাড়া পায়নি এপি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র ও অংশীদারদের সহায়তায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত নেটওয়ার্কের মুখোশ উন্মোচনে কাজ করবে। রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধ অবৈধ যুদ্ধ স্থায়ী করতে যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করছে তা রুখে দিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাজ অব্যাহত রাখবে।
ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ১১ প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র লুকাশেঙ্কোর সরকারের সাথে সম্পর্কিত। যারা গণতন্ত্রপন্থি বেসামরিক নাগরিক ও সমাজের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। এমনকি লুকাশেঙ্কোর পরিবারের সদস্যরা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত এবং তারা ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার অন্যায্য যুদ্ধে শুরু থেকেই বেলারুশের সমর্থন ও সামরিক সহায়তা রয়েছে।
ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেরোরিজম অ্যান্ড ফাইন্যানসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্রিয়ান নেলসন বলেন, আজকের এ পদক্ষেপ লুকাশেঙ্কা, তার পরিবার এবং তার শাসনামলকে তাদের গণতান্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিষয়টি বেলারুশসহ বিশ্বব্যাপী নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে এর আগে ইসরায়েলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের যারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কয়েক ‘ডজন’ চরমপন্থি ইসরায়েলি এবং তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। তিনি বলেন, আইন মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র এসব ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করবে না।
মন্তব্য করুন