যুক্তরাষ্ট্রে হামলার শিকার হয়েছেন তিন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের কাছে তারা হামলার শিকার হন। আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের দাবি, ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্লিংটন পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তাদের ওপর হামলার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। হামলার সময় তারা ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ স্কার্ফ পরেছিলেন। এমনকি এ সময় তারা আরবিতে কথা বলছিলেন।
হামলার শিকার ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন, হিশাম আওয়ারতানি, তাহসিন আহমেদ এবং কিন্নান আবদালহামিদ। পুলিশ হামলায় সন্দেহভাজনকে খোঁজ করছেন।
সিএসবি নিউজ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হামলাকারী হেঁটে পালিয়ে গেছে।
বার্লিংটন পুলিমের প্রধান জন মুরা বলেন, আহত দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল। এ ছাড়া বাকি অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা তিনজনই রামাল্লাহর ফ্রেন্ড স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। এটি রামাল্লার কোয়েকার কর্তৃক পরিচালিত বেসরকারি অলাভজনক স্কুল।
আহত ওই তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবদালহামিদ হ্যাভারফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তাহসিন কানেকটিকাটের ট্রিনিটি কলেজে এবং হিশাম ব্রাউন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এ হামলাকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এসময় তারা আরও বলেন, হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত তারা স্বস্তি পাবেন না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে হিংসাত্মক হামলা এবং অনলাইনে হয়রানিসহ ইসলামোফোবিক নানা ঘটনা বেড়েছে। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভার্মন্টের সিনেটর এবং সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স এ সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বার্লিংটনে ফিলিস্তিনি তিন তরুণের ওপর হামলা হয়েছে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এখানে বা অন্য কোথাও ঘৃণার কোনও স্থান নেই।
মন্তব্য করুন