ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে আলোচনা আর বিতর্কের কোনো শেষ নেই। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে পাকা কোনো প্রমাণ নেই। এ বিতর্কের মধ্যে ভিনগ্রহের প্রাণীদের চালানো নভোযান বা আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) নিয়ে গল্প আর সংশয়ের শেষ নেই।
বৃহস্পতিবার এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ ভিনগ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ গবেষণায় ভিনগ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব প্রমাণ হতে পারে।
নাসা জানিয়েছে, গতবছর তারা আনআইডেন্টিফাইড অ্যানোমালাস ফেনোমেনা (ইউএপি) বা অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ নিয়ে গবেষণা করেছে। এ গবেষণার সময়ে ইউএফওর পরিবর্তে ইউএপি লেখার প্রচলন শুরু হয়। এটি মানুষের কাছে আগ্রহের বিষয় হলেও বিজ্ঞানীদের কাছে কেবলই ব্রাত্য বিষয়।
এএফপি জানিয়েছে, প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ১৬ জন গবেষক। তারা চলতি বছরের মে মাসে প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। তবে সেখানে প্রাপ্ত তথ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানানো হয়। এজন্য তারা আরও উচ্চমানের তথ্য সংগ্রহের কথা জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আজকের প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন থেকে বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। এরপর হয়তো নাসা প্রাণীর অস্তিত্ব প্রমাণের বদলে নতুন করে ইউএপির অনুসন্ধানে আরেকটি অভিযান শুরু করতে পারে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নাসার বিভিন্ন নভোযান ও রোভার সৌরজগতের অন্যান্য অংশে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার কাজে ব্যবহার হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দূর-দূরান্তের গ্রহে বুদ্ধিদীপ্ত সভ্যতার নিদর্শন খোঁজার চেষ্টা করলেও ঐতিহাসিকভাবে, পৃথিবীতে ভিনগ্রহের প্রাণীর উপস্থিতি নিয়ে ‘গুজব’ ভুল প্রমাণ করার পেছনেই এই সংস্থাটি অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছে। মে মাসে সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানান, তারা ২৭ বছরে বর্ণিত ৮০০টি ‘ঘটনা’ নিয়ে কাজ করেছেন। যার মধ্যে ২ থেকে ৫ শতাংশকে তারা ‘অস্বাভাবিক’ বা অনিয়মিত বলে অভিহিত করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সরকার ইউএপিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। তাদের ধারণা এসবের সাথে বিদেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রমের সংযোগ রয়েছে। অর্থাৎ, এমনও হতে পারে যে মানুষ যেগুলোকে ভিনগ্রহের প্রাণীর কাজ ভাবছে, সেগুলো হয়তো চীন বা উত্তর কোরিয়ার মতো বৈরী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন