চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের ১৮৪ দেশের ওপর পালটা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) শুল্ক ঘোষণা করে তিনি বছরের পর বছর ধরে অবিচারমূলক বাণিজ্য নীতিমালা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তার এই শুল্কনীতিতে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয় চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিবিসি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদিত সোলার প্যানেলের ওপর অন্তত তিন হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক ধরার পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শীর্ষ সোলার প্যানেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তৎকালীন বাইডেনের প্রশাসনকে নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। এ নিয়ে গত এক বছর তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তের পর বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন সোলার প্যানেলের ওপর এই পরিমাণ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিল।
প্রস্তাবিত এই শুল্ক কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের যেসব প্রতিষ্ঠান চীনের অর্থে পরিচালিত হয় এবং সস্তায় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য বিক্রি করে সেগুলোর ওপরও প্রযোজ্য হবে। তবে দেশ ও প্রতিষ্ঠান ভেদে শুল্কের পরিমাণ ভিন্ন হবে। আগামী জুনে মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার কয়েকটি সোলার যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর সর্বোচ্চ তিন হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। কেননা, সেসব প্রতিষ্ঠান মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের তদন্তের সময় পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি।
মালয়েশিয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠান জিনকো সোলারের পণ্যের ওপর সবচেয়ে কম ৪১ শতাংশ শুল্কের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে চীনা প্রতিষ্ঠান ট্রিনা সোলারের পণ্যের ওপর ৩৭৫ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই এ বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপ করা শুল্ক এড়াতে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় কারখানা স্থানান্তর করে।
মন্তব্য করুন