অভিবাসীদের বিষয়ে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হাজার হাজার অভিবাসীকে মৃতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনকে (এসএসএ) ছয় হাজার অভিবাসীর নাম মৃতদের ডাটাবেসে যুক্ত করতে বলেছে। এই পদক্ষেপের ফলে অভিবাসীরা আইনগতভাবে কাজ করার অধিকার, সরকারি সুবিধা, ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন নীতির অংশ। এর মাধ্যমে অভিবাসীদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করার কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তালিকাভুক্ত অভিবাসীদের অনেকেই সাময়িক ওয়ার্ক পারমিটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন, যা বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচির অধীনে অনুমোদিত ছিল। তবে ডিএইচএস জানিয়েছে, তারা এখন ‘সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট নজরদারি তালিকা’ বা এফবিআইয়ের অপরাধমূলক রেকর্ডে থাকা অভিবাসীদের নিশানা করছে, যারা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার অযোগ্য।
ডিএইচএসের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে সরকার অবশেষে ফেডারেল সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য শেয়ার করে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। এতে অপরাধী, সন্ত্রাসবাদী হুমকি ও অবৈধ সুবিধাভোগীদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
এসএসএর একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, পূর্বে যেটি সোশ্যাল সিকিউরিটি ডেথ মাস্টার ফাইল নামে পরিচিত ছিল, সেটিকে এখন নতুন করে ‘অযোগ্য ফাইল’ নাম দেওয়া হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময় দায়িত্বে থাকা সাবেক এসএসএ কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি এই সিদ্ধান্তকে ‘আইনবিরোধী ও বিপজ্জনক নজির’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, যদি সরকারের পক্ষে কারও মৃত্যু না ঘটেই তাকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, তবে যে কাউকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিজ হিউস্টন বলেন, ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যাপক বহিষ্কারের। আর্থিক প্রণোদনা কেড়ে নিয়ে আমরা অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগে উৎসাহিত করছি। এটি ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ।
মন্তব্য করুন