মার্ক জাকারবার্গ আমেরিকানদের বোকা বানাচ্ছেন। চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি এমনটা করে যাচ্ছেন। মেটার এক সাবেক কর্মী এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি যাকে ‘হুইসেলব্লোয়ার’ আখ্যায়িত করছে।
সিবিএস নিউজের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মেটার সাবেক এক্সিকিউটিভ সারাহ উইন-উইলিয়ামস হুইসেলব্লোয়ার হিসেবে এগিয়ে এসেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কোম্পানিটি চীনে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করছে।
উইন-উইলিয়ামসের মতে, মেটা এক্সিকিউটিভরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকানদেরসহ অন্যান্য ব্যবহারকারীদের ডেটা অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয়। অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনবিষয়ক মার্কিন সিনেট বিচার বিভাগীয় উপকমিটির সভাপতিত্বকারী সিনেটর জশ হাওলির নেতৃত্বে একটি কংগ্রেসনাল শুনানির সময় এই সাক্ষ্য দেন তিনি।
উইন-উইলিয়ামস অভিযোগ করেন, মেটা চীনা সরকারের জন্য কাস্টম সেন্সরশিপ টুল তৈরি করেছে। যার ফলে কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণের ওপর ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তিনি বলেন, আমি দেখেছি মেটা নির্বাহীরা বারবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিচ্ছেন এবং আমেরিকান মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, মার্ক জাকারবার্গের সর্বকালের সবচেয়ে বড় কৌশল ছিল আমেরিকান পতাকা জড়িয়ে নিজেকে দেশপ্রেমিক বলে দাবি করা এবং বলা যে, তিনি চীনে কোনো সেবা প্রদান করেন না। অন্যদিকে তিনি গত দশকে সেখানে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।
সাক্ষ্যে উইন-উইলিয়ামস আরও অভিযোগ করেন, মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল-লামা চীনা এআই কোম্পানি ডিপসিককে সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই দাবি চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মেটার সম্পর্ক এবং ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে।
মেটা এই দাবিগুলোর বিরোধিতা করে বলেছে, উইন-উইলিয়ামসের সাক্ষ্য বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং মিথ্যা দাবিতে পরিপূর্ণ। তবে উইন-উইলিয়ামস দাবি করেছেন, মেটার পদক্ষেপগুলো ইচ্ছাকৃত ছিল।
কোম্পানির মুখপাত্র রায়ান ড্যানিয়েলস বলেন, মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ চীনে তার সেবা প্রদানে কোম্পানির আগ্রহের কথা প্রকাশ্যে প্রকাশ করলেও বাস্তবতা হলো- আমরা এখন চীনে কোনো সেবা পরিচালনা করি না।
মন্তব্য করুন