মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মাঝেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিপুল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। আগামী ১০ বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে দেশটি ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
এই বিশাল বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা আসে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের বৈঠকের পর।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ তার মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য। অন্যদিকে তাহনুন বিন জায়েদের নেতৃত্বে ছিল একটি উচ্চপর্যায়ের আমিরাতি প্রতিনিধি দল।
বৈঠকের চার দিন পর শুক্রবার (২১ মার্চ) হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই নতুন বিনিয়োগ কাঠামোর মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামো, সেমিকন্ডাক্টর, জ্বালানি এবং মার্কিন উৎপাদন খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদ্যমান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
বৈঠকে আমিরাতভিত্তিক এমজিএক্স, ব্ল্যাকরক, মাইক্রোসফট এবং গ্লোবাল ইনফ্রাসট্রাকচার পার্টনার্স (জিআইপি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া ও এক্সএআই’র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অংশীদারত্ব (এআইপি) প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে নতুন প্রজন্মের ডেটা সেন্টার ও জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণে ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া আমিরাতের বিনিয়োগ তহবিল এডিকিউ মার্কিন অংশীদার এনার্জি ক্যাপিটাল পার্টনার্সের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প ঘোষণা করেছে, যা মূলত জ্বালানি অবকাঠামো এবং ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টেক্সাসের নেক্সট ডেকেড এলএনজি প্রকল্পেও বিনিয়োগ করবে, যা মার্কিন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন এবং রপ্তানিতে সহায়ক হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেও আমিরাতের এমন বড় বিনিয়োগ পরিকল্পনা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন