যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে দেশটির শাসনব্যবস্থাকেও হুমকি দিতে পারেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি একতরফাভাবে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে এসে তিনি ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং নতুন চুক্তির জন্য দুই মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন বলে জানা গেছে।
এক রেডিও সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেন। তবে ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের পথে এগিয়ে যায়, তাহলে তিনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন। আমাদের সে সামর্থ্য রয়েছে এবং আমরা আরও এগিয়ে গিয়ে ইরানের শাসনব্যবস্থাকেও হুমকি দিতে পারি।
এর আগে, ট্রাম্প ইরানের নেতাদের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে একটি চিঠি পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয় এবং এটি বর্তমানে তেহরানের পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি এই আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং ট্রাম্পের সামরিক হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
খামেনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন নিজেই চুক্তি থেকে সরে গেছে, তখন ইরানকে দোষারোপ করা অর্থহীন। ইরান বারবার জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না। তথ্যসূত্র: আইএফপি নিউজ
মন্তব্য করুন