ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসার জন্য দেশটিকে তিনি এ আলটিমেটাম দিয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের একজন কূটনীতিক বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগশিকে মার্কিন চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের বরাতে এক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প বেশ কড়া ভাষায় চিঠিটি লিখেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে পারমাণবিক আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তেহরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যায় তাহলে তাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, চিঠিতে খোলামেলা আলোচনার সম্ভাবনা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য পক্ষগুলোর জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই মাসের গণনা শুরু হওয়ার দিন থেকেই, নাকি আলোচনা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হয়েছিল তা স্পষ্ট জানাতে পারেনি সূত্রটি।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্রের মতে, ইরানের কাছে চিঠিটি পৌঁছে দেওয়ার আগে হোয়াইট হাউস ইসরায়েল, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন মিত্রকে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত করেছিল।
ট্রাম্প মার্চের শুরুতে ফক্স বিজনেস নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে চিঠিটির অস্তিত্ব প্রকাশ করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, আমি তাদের একটি চিঠি লিখেছি যেখানে বলা হয়েছে, আমি আশা করি তোমরা আলোচনা করবে কারণ যদি আমাদের সামরিকভাবে আক্রমণ করতে হয়, তাহলে তা ভয়াবহ হবে। তোমরা তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দিতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ইরানকে মোকাবিলা করার দুটি উপায় আছে : সামরিকভাবে, অথবা আপনি একটি চুক্তি করুন... আমি একটি চুক্তি করতে পছন্দ করব, কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। তারা দুর্দান্ত মানুষ।
পরের সপ্তাহে, খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। ওয়াশিংটনের প্রস্তাবটিকে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করে বলেন, এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ইরান আলোচনায় অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র পরে রয়টার্সকে বলেন, ইরান পূর্ণ যাচাইবাছাইয়ের পরে চিঠির জবাব দেবে।
মন্তব্য করুন