অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে আর সামরিক বিমান ব্যবহার করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে আগামী দিনগুলোতে কোনো ফ্লাইট নির্ধারিত নেই। সর্বশেষ সামরিক নির্বাসন ফ্লাইটটি গত ১ মার্চ পরিচালনা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, এই বিরতি বাড়ানো বা স্থায়ী হতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে তাদের কঠোর অবস্থান প্রদর্শনের জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করেছিল। এজন্য সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে প্রায় ৩০টি ফ্লাইট এবং প্রায় এক ডজন সি-১৩০ বিমান বিভিন্ন গন্তব্যে পরিচালনা করা হয়েছে। এগুলো ভারত, গুয়াতেমালা, ইকুয়েডর, পেরু, হন্ডুরাস, পানামা এবং গুয়ান্তানামো বেতে অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড নির্বাসন অপারেশনের চেয়ে সামরিক বিমান ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ব্যয়বহুল। সংবাদপত্রের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ভারতের নির্বাসন ফ্লাইটগুলোর প্রতিটির খরচ ৩ মিলিয়ন ডলার, যেখানে গুয়ান্তানামো বেতে মাত্র এক ডজন অভিবাসী বহনকারী কিছু ফ্লাইটের প্রতিটি অভিবাসীর জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার খরচ হয়েছে।
ইউএস ট্রান্সপোর্টেশন কমান্ডের তথ্যানুসারে, একটি সি-১৭ বিমান পরিচালনা করতে প্রতি ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৫০০ ডলার খরচ হয়, যা ভারী কার্গো এবং সৈন্য পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ তুলনায় তুলনায় স্ট্যান্ডার্ড ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ফ্লাইটগুলোর খরচ প্রতি ঘণ্টায় হাজার ৫০০ ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বিমানগুলো মেক্সিকোর আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারার কারণে অপারেশনগুলো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফ্লাইটগুলোতে কয়েক ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। এছাড়াও কিছু লাতিন আমেরিকান দেশ সামরিক ফ্লাইটগুলো অবতরণ করতে অস্বীকার করেছে। এর পরিবর্তে নির্বাসিতদের জন্য তাদের নিজস্ব বিমান বা বাণিজ্যিক ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।
মন্তব্য করুন