হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক পর্যায়ে তিনি জেলেনস্কিকে ‘গেট আউট’ বলে হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। উপস্থিত মার্কিন কর্মকর্তারা দ্রুত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সেখান থেকে বের করে দেন। এই নজিরবিহীন ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাশিয়া এ ঘটনায় উল্টো জেলেনস্কিকেই দায়ী করে তাকে ‘শয়তান’ বলেছে।
বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের সামনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধাতে চাইছেন। এই বিবাদের কারণে পূর্বনির্ধারিত চুক্তি স্বাক্ষর এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়।
বৈঠকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প বারবার জেলেনস্কিকে থামিয়ে নিজেই কথা বলছেন। এসময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে জেলেনস্কিকে দোষারোপ করতে থাকেন। ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে স্বৈরাচারী বলে আখ্যায়িত করে বলেন, যুদ্ধ বন্ধে তাকে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। তবে জেলেনস্কি তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।
এ ঘটনার পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি ন্যাটোর পুরনো নীতি থেকে সরে আসবেন? কারণ ১৯৪৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ঘোষণা করেছিলেন, ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান সেই নীতির বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন