যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কর্মীদের কর্মবিবরণী জানতে চেয়ে ই-মেইল করেছে ইলন মাস্কের দপ্তর ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’। সেই ই-মেইলের জবাব না দেওয়া কর্মীদের শাস্তির হুমকি দিয়েছেন মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল সরকারের কর্মীরা একটি ই-মেইল পান। গত সপ্তাহে কে কী কাজ করেছেন, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সব কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলটি পাঠানো হয়। কর্মীদের আগের সপ্তাহের কাজের হিসাব সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দিতে বলা হয়। ই-মেইলটি পাঠানোর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বের টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই ই-মেইলের জবাব না দেওয়াকে ‘পদত্যাগ’ হিসেবে গণ্য করা হবে।” কিন্তু এরপরও অনেকে ই-মেইলের জবাব দেননি। তাদের ব্যাপারে নতুন করে হুমকি দেন ইলন মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ই-মেইলের অনুরোধটি একেবারেই তুচ্ছ ছিল। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মানদণ্ড ছিল কিছু শব্দ টাইপ করা, আর তা পাঠিয়ে দেওয়া। তবু অনেকে এই তুচ্ছ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ব্যবস্থাপকরা জবাব না দিতে বলেছেন।
মাস্ক আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের বিচক্ষণতা সাপেক্ষে কর্মীদের আরেকটি সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয়বার ই-মেইলের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত করা হবে।
মাস্কের এসব মন্তব্যের বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যে পন্থায় ইলন মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’ গঠন ও পরিচালনা করছে, তা সংবিধান লঙ্ঘন করে থাকতে পারে বলে ওয়াশিংটনের একজন ফেডারেল বিচারক মন্তব্য করেছেন। গত সোমবার দেওয়া এক আদেশে এ সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারক কলিন কলার কোটলে। কিন্তু তার এমন সন্দেহ প্রকাশ করার বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে মানা কোনো আদেশের অংশ নয়। তবে বিচারকের এ মন্তব্যে মাস্কের বিভাগ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন