সরকারি ব্যয় সংকোচনের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসনে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ২৬ দিনে সাড়ে নয় হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এ দপ্তরের প্রধান করা হয় ইলন মাস্ককে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস স্বীকৃতি না দেওয়ায় দপ্তর এখনো মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা পায়নি। ফলে মন্ত্রীর পরিবর্তে উপদেষ্টা পদবিতে রয়েছেন মাস্ক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র, জ্বালানি, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স, কৃষি, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। প্রবেশনারি কর্মীদের নিশানা করে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, আরও প্রায় ৭৫ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। যা দেশটিতে থাকা দুই দশমিক তিন বেসামরিক কর্মীর প্রায় তিন শতাংশ।
ট্রাম্পের দাবি, ফেডারেল সরকার অত্যন্ত ফোলানো এবং এখানে অপচয় ও দুর্নীতি ব্যাপক। সরকারের ঋণের পরিমাণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার এবং গত বছর ঘাটতি ছিল ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। এ কারণে তিনি আমলাতন্ত্র সংস্কারের পক্ষে জোর দিচ্ছেন। তবে ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করছেন, ট্রাম্প কংগ্রেসের সাংবিধানিক ক্ষমতা লঙ্ঘন করছেন।
ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ট্রাম্প ও মাস্ক সিভিল সার্ভিস সুরক্ষা কমাতে, বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করতে এবং ইউএসএআইডি ও কনজিউমার ফাইন্যান্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরোর মতো কিছু সরকারি সংস্থা বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। তবে একটি আদালত ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব বাতিল করেছেন।
এই ছাঁটাইয়ের ফলে গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের পর ফেডারেল কর্মসূচিতে সিজনাল ফায়ারফাইটার নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে এবং বন থেকে মৃত কাঠ সরানোর কাজ থেমে গেছে।
মন্তব্য করুন