মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
এই নতুন নামের পক্ষে অবস্থান নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিস ও এয়ার ফোর্স ওয়ানে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ওভাল অফিসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং ক্যাবিনেট সেক্রেটারি টেইলর বুডউইচ বিকেলে একটি বিবৃতি পোস্ট করে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অসৎ প্রতিবেদন’ দেওয়ার জন্য এপিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারি মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের ঐতিহ্যবাহী নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের পর, আমেরিকার সরকারি সংস্থাগুলোও নতুন নামটি গ্রহণ করেছে।
তবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশ এখনো ‘মেক্সিকো উপসাগর’ নামটি ব্যবহার করে আসছে এবং এর মধ্যে রয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। তাদের প্রতিবেদনে ‘মেক্সিকো উপসাগর’ ব্যবহার করায় হোয়াইট হাউস তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়।
এপি’র বিশ্বজুড়ে বিপুল গ্রাহক রয়েছে, যারা এখনো ‘মেক্সিকো উপসাগর’ নামটি ব্যবহার করে আসছে। বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও একই নামটি ব্যবহার করতে থাকায়, হোয়াইট হাউসের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগ বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে, বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরকারের হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, এপি এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা একদিকে যেমন সরকারের প্রভাবশালী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনি এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরকারের হস্তক্ষেপেরও একটি উদাহরণ।
হোয়াইট হাউসের এই পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে যখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষ প্রতিবেদন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনা চলছে। এটি মার্কিন প্রশাসনের সংবাদমাধ্যমের প্রতি কঠোর মনোভাবের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা আগামী দিনগুলিতে আরও বিতর্ক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
মন্তব্য করুন