যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টির সাথে যুক্ত একটি সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মার্কিন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপপরিচালক পল মার্টিনকে ই-মেইলের মাধ্যমে বরখাস্তের পত্র পাঠান। তাতে বলা হয়, ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো।
ইউএসএআইডির ইন্সপেক্টর জেনারেল (মহাপরিদর্শক) অফিসের একজন মুখপাত্র মার্টিনের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, তাকে বরখাস্ত করার কোনো কারণ জানানো হয়নি। সিএনএন এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউসের সাথে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু বরখাস্তের কোনো ব্যাখ্যা পায়নি।
এর একদিন আগে ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শকের দপ্তর থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ফলে সংস্থাটি প্রায় ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অব্যয়িত সহায়তার সঠিক তদারকি করতে পারছে না।
আইন অনুযায়ী প্রশাসনকে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেলকে বরখাস্ত করার আগে কংগ্রেসকে ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হবে এবং ওয়াচডগদের অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে।
মার্টিন ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি ফেডারেল সংস্থার ইন্সপেক্টর জেনারেলদের বরখাস্ত করেন। ওই দফায় ইউএসএআইডির পল মার্টিন বহাল থাকেন।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদেশি সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলো স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। সংস্থাটির কম্পিউটার সিস্টেমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্মীদের আকস্মিক ছাঁটাই করা বা ছুটিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে তহবিল ছাড় স্থগিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির এবং এর ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন এনজিওর লাখ লাখ কর্মী অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন। মার্কিন প্রশাসনের অনেকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন- হয়তো স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে ইউএসএআইডির অস্তিত্বও থাকবে না।
মন্তব্য করুন