ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তির আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ওই সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে আবারও যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি চান ট্রাম্প।নয়তো যুদ্ধবিরতি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি বলব- যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন। তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে এবং সেখানে নরক শুরু হোক।
ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি শনিবারের মধ্যে গাজা উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব করে বলেন, আমি যতদূর জানি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয় -- আমার মনে হয় এটিই উপযুক্ত সময় -- আমি বলব, এটি বাতিল করুন, সমস্ত বাজি বন্ধ হয়ে যাক এবং নরক শুরু হোক। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার পরে একটি ভিন্ন খেলা হতে চলেছে। শনিবারের সময়সীমার পরে গাজায় মার্কিন হস্তক্ষেপ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখব কী হয়।
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ‘অনির্দিষ্টকাল’ জন্য স্থগিত করেছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হামাসের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিবেদনে হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা এক বিবৃতিতে বলেন, গত তিন সপ্তাহে, হামাসের প্রতিরোধ বাহিনী শত্রুদের (ইসরায়েল) চুক্তি লঙ্ঘন দেখতে পেয়েছে। তারা চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের মধ্যে অন্যতম ছিল, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করা এবং বিভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর গোলাবর্ষণ ও গুলি চালানো। এ ছাড়া গাজার জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানোর শর্তও তারা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসসহ প্রতিরোধ বাহিনী তাদের সব প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি রক্ষা করেছে।
হামাসের মুখপাত্র বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার যে সময়টিতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তা এখন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। তিনি আরও জানান, যতদিন না দখলদার ইসরায়েল চুক্তির শর্ত পূর্ণভাবে মেনে চলে, ততদিন হামাস এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকবে।
মন্তব্য করুন