বৈশ্বিক নিন্দা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার মালিকানা নেওয়ার কথা বলছেন। তিনি বলেন, গাজাকে একটি ‘বড় আবাসন প্রকল্প’ হিসেবে দেখতে হবে এবং গাজা কেনার জন্য তিনি প্রস্তুত।
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের ওপর দেওয়া যেতে পারে, তবে সবকিছু তার তত্ত্বাবধানে হতে হবে। তিনি গাজায় মার্কিন সেনা পাঠানোর কথাও বলেছিলেন, তবে পরে জানান, সেনা পাঠানোর দরকার নেই।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়ন ও সেখানে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসা গাজার জনগণকে তাদের চিরন্তন মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। এরদোয়ান আরও বলেন, গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের মালিক ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ পরিকল্পনার কঠোর প্রতিবাদ করেছে। তারা বলছে, গাজা তাদের জমি এবং এটি কেনা-বেচা করা যাবে না। হামাসের দাবি, গাজার মানুষই সেখানে মালিক এবং তারা কখনও তাদের জমি ছাড়বে না। হামাসের গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, গাজা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এসব পরিকল্পনা আমরা পরাস্ত করব, যেভাবে আগের প্রকল্পগুলো পরাস্ত করেছি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সৃজনশীল ও বৈপ্লবিক বলে প্রশংসা করেছেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ যেমন মিশর, জর্ডান এবং সৌদি আরব এই পরিকল্পনাকে নাকচ করেছে।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে গাজার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তথ্য: রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।
মন্তব্য করুন