দেখতে ফুটবল আকৃতির। কিন্তু আসলে এটি প্রাণঘাতী এক অস্ত্র, যা দিয়ে ধ্বংস করা যাবে শত্রুর শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনই এক কামিকাজে ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মার্কিন স্টার্টআপ কোম্পানি এক্সডাউন। এএফএল ফুটবলের মতো দেখতে এই ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে পিএস কিলার বা পিএসকে। ছুড়ে মারার মতো এই ড্রোন রাডার ফাঁকি দিতেও নাকি সক্ষম।
পিএসকের ওজন সাড়ে ৩ পাউন্ডের চেয়ে একটু বেশি। চাইলে কোয়ার্টারব্যাকের মতোই যেকোনো স্থান থেকে আকাশে ছুড়ে মারা সম্ভব। আর নিখুঁতভাবে আঘাত হানতেও জুড়ি নেই এই ড্রোনের। সামরিক অস্ত্রাগারে ড্রোন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জায়গা করে নিচ্ছে। ইউরোপের বুকে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা আঙুলে চোখ দিয়ে দেখিয়েছে।
শত্রুর ওপর নজরদারি, গাইডেড উইপেন এবং হামলার জন্য ড্রোনের কার্যকারিতা অনেক। এক্সডাউন বলছে, তাদের তৈরি করা এই ড্রোনের খরচ খুবই কম। আর খুব সহজেই এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেড করা যায়। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ছাড়াও পিএসকে ড্রোন নজরদারি ও থার্মাল ইমেজিংয়ের মতো কর্মকাণ্ড চালাতে সক্ষম। তবে উড়ন্ত ড্রোনের বিরুদ্ধে যম হয়ে উঠতে পারে পিএসকে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউক্রেনীয় মিলিটারি পোর্টাল।
কতটুকু ওজন বহন করছে তার ওপর ভিত্তি করে ১৫ থেকে ৪০ মাইল দূরত্ব পর্যন্ত টার্গেটে আঘাত হানতে পারে এই পিএসকে ড্রোন। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল। মাত্র একবার লঞ্চ করেই পিএসকে ড্রোন দিয়ে একাধিক টার্গেট কাবু করা যায়। আকাশে থাকা অবস্থাতেই কমান্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে রিয়েল টাইম ডাটা আদানপ্রদানের মতো সক্ষমতাও রয়েছে পিএসকের।
এক্সডাউন আরও বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টের নিয়ম মেনেই এই ড্রোন বানানো হয়েছে। কড়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিখুঁতভাবে ভেদ করতে পারে পিএসকে। এতে শত্রুর আউটপোস্ট, যুদ্ধক্ষেত্র এবং পশ্চাদভাগ সহজেই ব্যবহারকারীর নখদর্পণে চলে আসবে। এ বছরই পিএসকের সামরিক সক্ষমতা যাচাই করে দেখতে পারে এক্সডাউন।
মন্তব্য করুন