ক্ষমতায় এসেই প্রথম নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিষেধাজ্ঞায় মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশকে নিশানা করা হয়েছে। দেশটিকে চাপে রাখতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম দফায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে সর্বোচ্চ চাপে রাখার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এতে ইরানের তেল নেটওয়ার্ককে নিশানা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই এসব পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংস্থা, জাহাজ এবং ব্যক্তিদের লক্ষ্য করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ জারি করেছিল।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সচিব স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানি সরকার তার তেল রাজস্বকে পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন, ভয়ংকর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মনুষ্যবিহীন ড্রোন তৈরি এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনের জন্য কাজে লাগানোর উপর মনোনিবেশ করে চলেছে। এই ক্ষতিকারক কার্যকলাপে তহবিল সংগ্রহের জন্য ইরানের যে কোনো প্রচেষ্টাকে আক্রমণাত্মকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টাকে দস্যুতা বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ট্রেজারি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অন্যতম হলো চীন, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
মন্তব্য করুন