কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজা পুনর্গঠনে কত সময় লাগবে জানালেন ট্রাম্পের দূত

বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা। ছবি : সংগৃহীত
বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। দেশটির হামলায় গাজায় কিছু অবশিষ্ট নেই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি বলেন, উপত্যকা পুনর্নির্মাণে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজা সফরের পর উইটকফ বলেন, মানুষ উত্তর গাজায় কী ঘটেছে তা দেখার জন্য সেখানে ফিরে যাচ্ছে। এরপর তারা আবার ফেরত আসছে। সেখানে পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। উত্তরাঞ্চলে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সত্যি অবাক করার মতো।

উইটকফের কাতারসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন তদারকি করতে অঞ্চলটিতে সফরে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, গাজায় কিছুই নেই। উপত্যকাজুড়ে বিস্ফোরক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে হাঁটাও নিরাপদ নয়। এটি খুব বিপজ্জনক। এলাকাটি পরিদর্শনে না গেলে আমি এ বিষয়ে কিছু জানতেই পারতাম না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তাদের ২ দিনব্যাপী ঈদ মেলা

ভারত-মিয়ানমার থেকে এলো সাড়ে ৩০ হাজার টন চাল

‘কেউ কেউ ভারতে যাওয়ার জন্য লাইন দিয়ে আছে’

যুক্তরাষ্ট্রে আসক্তিহীন নতুন ধরনের ব্যথানাশকের অনুমোদন

আ.লীগ-ছাত্রলীগের কর্মসূচি হাস্যকর : ছাত্রদল সভাপতি রাকিব

নন্দীনির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করলেন তারেক রহমান

উড়ন্ত ড্রোন ও রোবট কুকুরের যুদ্ধের ভিডিও ভাইরাল

দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধাবোধ থাকবে বলে আশা ভারতের

বিমান ভাড়া কমানোর দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরাতে আবারও ট্রাম্পের প্রস্তাব

১০

বছরের প্রথম মাসে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু 

১১

মহাস্থানগড় পরিদর্শন করলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত 

১২

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি : নাজমুল হাসান অভি

১৩

বিয়ে করলেন সারজিস, পাত্রী কে?

১৪

শাসক হব না, চৌকিদার হব : ড. ফারুকী

১৫

‘জামদানি শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার’

১৬

নরসিংদীতে নতুন রূপে ‘বিউটিরুম বাই আফরিন’ 

১৭

বিশ্ব ইজতেমায় ৩ মুসল্লির মৃত্যু

১৮

‘চট্টগ্রামে খাল খননে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার’

১৯

‘অন্তর্বর্তী সরকারে সব গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে’

২০
X