যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক নীতি বদলানোর নানা পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। দেশবাসীকে সুখে রাখতে আয়কর ব্যবস্থার বিলোপ চান তিনি। যদিও এটি এখনো তার ভাবনা, কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা হয়নি।
তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, আয়কর না থাকলে আমেরিকার মানুষ নিজেদের সঞ্চিত অর্থ বাজারে ব্যয় করতে পারবে, যা অর্থনৈতিক উন্নতি ও চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে।
এটা স্পষ্ট যে, অন্য দেশগুলোর পরিস্থিতি পরোয়া না করে শুধু আমেরিকানদের সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চান ট্রাম্প। তার ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির আওতায় ইসরায়েল ও মিসর ছাড়া অন্য সব দেশের জন্য আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা হয়েছে। এতেই অনেক দেশের হাহাকার শুরু হয়েছে। সে সঙ্গে আমেরিকান পণ্যগুলোর ওপর রপ্তানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যাতে বিদেশি পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়িয়ে মার্কিন অর্থনীতির উন্নতি করা যায়।
ট্রাম্পের মতে, ১৮৭০-১৯১৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকা ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র। সে সময় আয়কর ব্যবস্থা ছিল না। তার বিশ্বাস, ওই সময়ের মতো আমেরিকাকে আবার সমৃদ্ধশালী করতে গেলে আয়কর ব্যবস্থার বিলোপ খুব জরুরি।
এদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে বিনামূল্যে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার মতো প্রাণঘাতী রোগের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীও আর যাবে না সেসব দেশে। এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির সহায়তাভোগী বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো।
মন্তব্য করুন