চলতি মাসেই বাজারে এসেছে চীনা কোম্পানির এআইভিত্তিক চ্যাটবট ডিপসিক। বাজারে এসেই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে এ চ্যাটবট। অ্যাপল স্টোরে ফ্রি অ্যাপের মধ্যে সর্বাধিক ডাউনলোডের খেতাব পেয়েছে এটি। অ্যাপের জনপ্রিয়তা থেকে শুরু করে এটির নির্মাণ খরচও অর্থিক বাজারকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
অ্যাপটির নির্মাতা গবেষক দল জানিয়েছে, এটি তৈরিতে মাত্র ৬০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে। এ খরচ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এআই কোম্পানিগুলোর শতকোটি ডলার খরচের তুলনায় রীতিমতো নগণ্য।
ডিপসিক কী?
চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কোম্পানি ডিপসিক দক্ষিণ-পূর্ব চীনের শহর হাংঝুতে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপ ছাড়া হয়।
ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেংয়ের পরিচয়
চীনা এ প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং নিজের প্রতিষ্ঠিত একটি হেজ ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করে এটি তৈরি করেন। তথ্য ও প্রযুক্তিতে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। তার সংগ্রহে এনভিডিয়ায় বিপুল সংখ্যক এ-১০০ চিপ জমা ছিল। এ ধরনের চিপ বর্তমানে চীনে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপসিক প্রতিষ্ঠার জন্য তার সংগ্রহে থাকা আনুমানিক ৫০ হাজার চিপ সহায়তা করেছে। ধারণা করা হয়, এ ধরনের চিপের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত কম দামি চিপ করে ডিপসিক তৈরি করা হয়েছে।
ডিপসিকের ব্যবহারকারী কারা?
অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর ও ডিপসিকের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যে অ্যাপল স্টোরে ডাউনলোডের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে এটি সর্বোচ্চ রেটিংয়ের ফ্রি অ্যাপ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
কীভাবে কাজ করে ডিপসিক
এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট টুলের জন্য ডিপসিক তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটির কার্যক্রম চ্যাটজিপিটির মতো। এটি কর্মদক্ষতা বাড়াতে এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপ স্টোর। অ্যাপটি আপনার লেখাকে আরও ভাবগম্ভীর করে তোলে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে এ অ্যাপটির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। চীন যেসব বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মনে করে তার উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই এআই চ্যাটবট শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে।
মন্তব্য করুন