বর্তমানে এক সংকটপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া। দাবানল থামানোর জন্য সেখানে আসন্ন বৃষ্টিপাত কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। একই সঙ্গে নতুন বিপদও ডেকে আনতে পারে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি এখনও দাবানলের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। নতুন কিছু দাবানলও ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়, বৃষ্টি অল্প সময়ের মধ্যে ভারি হলে ভূমিধসের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে এ সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হবে হালকা এবং দীর্ঘ সময় ধরে। এমন বৃষ্টি সাধারণত উপকারী হতে পারে। যদি বৃষ্টি খুব দ্রুত ও ভারি হয়, তবে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মাটি এখনও শুকনো। কারণ এখানে বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়নি। তাই বৃষ্টির পানি দ্রুত প্রবাহিত হয়ে মাটির ধস ও বন্যা তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, বৃষ্টি ভারি হলে পুড়ে যাওয়া পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি ও আবর্জনাকে নিচে এনে বাসস্থান ও অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারে। ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকায় এরইমধ্যে আড়াই কোটিরও বেশি স্যান্ডব্যাগ রাখা হয়েছে। পাহাড়ে ‘ডেব্রিস ড্যাম’ তৈরি করা হয়েছে যাতে অতিরিক্ত মাটি আটকে রাখা যায়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন বাস বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতির স্থানীয় কর্মকর্তারা সাবধান করেছেন। বৃষ্টির পানি যেন বিপজ্জনক হয়ে না উঠতে পারে সে লক্ষ্যে জরুরি আদেশ জারি করেছেন তিনি।
এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যেই দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন দাবানল শুরু হয়েছে। স্যান ডিয়েগো কাউন্টির সীমান্ত এলাকায় নতুন ‘বর্ডার ২’ দাবানল আগুনে ৬ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়িয়ে ফেলেছে। সেখানে এখনও মাত্র ১০ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে, কর্মকর্তারা আশাবাদী বৃষ্টি কিছুটা হলে দাবানলের বিরুদ্ধে সাহায্য করবে।
গত ৭ জানুয়ারি চলমান পালিসেডস ও ইটন দাবানলে ২৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ৪০ হাজার একর জমি পুড়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে দাবানল খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি। তবে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন দাবানল শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস ও আশপাশের অঞ্চলগুলোর জন্য জরুরি প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি যে কোনও সময় আরও খারাপ হতে পারে, এজন্য সকল নাগরিককে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তথ্য: সিএনএন
মন্তব্য করুন