কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চীনের ওপর শুল্ক আরোপে নতুন সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (পুরোনো ছবি)
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (পুরোনো ছবি)

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা ম্প নির্বাচনী প্রচারণায় দেওয়া চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে সরে এসে বলেছেন, আপাতত চীনের ওপর শুল্ক আরোপের কোনো পরিকল্পনা নেই। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় চীনের ওপর কঠোর বাণিজ্য নীতি গ্রহণের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, চীনের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

এমন কি সোমবার (২০ জানুয়ারি) দায়িত্ব গ্রহণের পরও জানিয়েছিলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চীন থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, চীনের ওপর আমাদের বেশ বড় কর্তৃত্ব রয়েছে। সেটি হচ্ছে শুল্ক (আরোপের হুমকি)। তারা চায় না আমরা শুল্ক বসাই। আমিও আপাতত চাই না। কিন্তু এই ক্ষমতা আমাদের আছে, যা চীনের ওপর বিশাল এক চাপ।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তিনি আপাতত চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে চান না।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা দুই দেশের জন্যই উপকারী।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। এটি কারও স্বার্থের জন্যই ভালো হবে না। বৈশ্বিক স্বার্থের জন্যও না। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান মতপার্থক্য সংলাপ এবং পরামর্শের মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় চীনের ওপর কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, বাস্তবিক পরিস্থিতি তাকে কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য করছে।

এই পরিস্থিতি দুই দেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমান ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

৬ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে উত্তর গাজায় ফিরবেন ফিলিস্তিনিরা

৭০ হাজার টাকা বেতনে ব্যাংকে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা

সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল গ্রেপ্তার

নীলক্ষেতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

জামিন পেয়েছেন পরী মণি

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় ঠান্ডা অব্যাহত

যুক্তরাষ্ট্রে বেশি বেশি সন্তান চান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

আজ ভাগ্যে কী আছে, জেনে নিন রাশিফলে

চিয়া সিড বেশি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে

১০

দুপুরে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা করবে ঢাবি উপাচার্য

১১

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা-দিল্লি না লাহোর?

১২

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি করা সেই এসআই গ্রেপ্তার

১৩

গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প, কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা

১৪

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আজই বাদ দিন এই খাবারগুলো

১৫

সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত

১৬

দিনাজপুরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে

১৭

যে কারণে হঠাৎ ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ

১৮

কোকোর মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে: ডা. জাহিদ

১৯

পবিত্র শবেমেরাজ আজ

২০
X