যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বরাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে পাশে চাইছেন। মূলত বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে চুক্তি করতে দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে চান তিনি।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন। তার মতে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারলে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া রাশিয়া যদি শান্তিচুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, কিমের সঙ্গে তার আগের বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ ছিল। তিনি আবারও কিমের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘কিম আমাকে পছন্দ করেন। আমি বিশ্বাস করি , আবারও আলোচনায় বসলে আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারব।’
এ দুই দেশের পাশাপাশি, চীনও ট্রাম্পের কূটনৈতিক অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প । বাণিজ্য, টিকটক ও তাইওয়ান বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও তারা পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে। এর ফলে চীনের পণ্যে শুল্কারোপের দরকার পড়বে না। তথ্য: রয়টার্স
মন্তব্য করুন