ক্ষমতা গ্রহণের পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরনের জন্য চুক্তি সম্প্রসারণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
ট্রাম্পের এ ফোনালাপ সৌদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয়টি নির্দেশ করে। ফোনালাপে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য আব্রাহাম চুক্তি সম্প্রসারণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। রিয়াদ ওয়াশিংটনের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়। এ চুক্তিতে আক্রমণের সম্মুখীন হলে সৌদি আরব নিরাপত্তা পাবে। এছাড়া এটি মার্কিন অর্থনীতির বিশাল বিনিয়োগের পথকে সুগম করবে।
সৌদি দীর্ঘদিন ধরে এ চুক্তি কার্যকরের জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর উদ্যোগের কথা বলে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ আক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের পর এ বিষয়ে আরও জোর দিয়ে আসছে সৌদি। ক্রাউন প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের কাছ থেকে আর প্রতীকী পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে।
সৌদির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা যুদ্ধের অবসান ছাড়া সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের আলোচনা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। অন্যদিকে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বুধবারের ফোনালাপে ট্রাম্পকে সালমান জানান, সৌদি আরব আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়। এমনকি নতুন কোনো সুযোগ সৃষ্টি হলে তা আরও বাড়তে পারে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন