যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে চান। রুবিও বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি তিনটি প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে।
সেগুলো হলো- ‘এটা কি আমাদের আরও শক্তিশালী করবে? এটা কি আমাদের আরও নিরাপদ করবে? এটা কি আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে?’
চীন ও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন রুবিও। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি আরও আক্রমণাত্মক হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিতে বিশ্বাসী। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃষ্টিতে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।
ট্রাম্প বলেছেন, এটি একটি ‘রূপান্তরের মুহূর্ত’ এবং যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে। তার মতে, এই পরিবর্তন বিশ্বকে আরও নিরাপদ ও সমৃদ্ধ করবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তার পূর্বসূরি বাইডেনের ৭৮টি আদেশ বাতিল করেছেন। সীমান্ত নিরাপত্তা শক্তিশালী করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ট্রাম্প পরিবেশবান্ধব নানা পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। অর্থনৈতিক নীতিতেও পরিবর্তন এসেছে। ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষ করে বাসস্থান, খাদ্য ও জ্বালানির খরচ কমানোর বিষয়ে। এসব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্পের প্রশাসন মার্কিন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে। তথ্য : বিবিসি
মন্তব্য করুন