কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা

যুদ্ধবিরতি চালুর পর গাজার দক্ষিণে রাফা শহরের দৃশ্য। ছবি : এএফপি
যুদ্ধবিরতি চালুর পর গাজার দক্ষিণে রাফা শহরের দৃশ্য। ছবি : এএফপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তার অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। এরপর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজার যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী নন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। ওটা আমাদের যুদ্ধ নয়, তাদের যুদ্ধ।’

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গাজার ভবিষ্যৎ অবকাঠামো নিয়ে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি

গাজা উপত্যকা নিয়ে ট্রাম্প তার পরিকল্পনার দিকেও ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হলেও এটি পুনর্গঠনের জন্য ‘অসাধারণ’ একটি জায়গা।

তিনি বলেন, ‘গাজা সমুদ্রের কাছাকাছি একটি অসাধারণ জায়গা। সেখানে আবহাওয়া চমৎকার। আমার মতে, জায়গাটিকে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কাজ করা সম্ভব।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি গাজা উপত্যকার একটি ছবি দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, সেখানে অসংখ্যবার বিস্ফোরণ ঘটেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে এটি অসামান্য পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাবে।’

ইসরায়েলকে ট্রাম্পের সমর্থন ও ফিলিস্তিনিদের অবস্থান

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজার বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে। ট্রাম্প মনে করেন, হামাস এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল এই যুদ্ধ জিতছে এবং তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবে।’

এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের সময়ে পশ্চিম তীরের কট্টর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের প্রক্রিয়া

রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় উভয় পক্ষ জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে।

যদিও এই চুক্তি বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া রূপরেখার ভিত্তিতে আলোচনা শুরু হয়েছিল, ট্রাম্প-বাইডেনের যৌথ কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়িত হয়। তবে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ইসরায়েলকে সব সময়ের মতোই সম্পূর্ণ সমর্থন দেবেন।

ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে গাজার পুনর্গঠন ও ইসরায়েলের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে গাজার যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সড়ক বিভাজকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২

বিদায় নিয়ে স্ত্রীসহ কোথায় গেলেন বাইডেন?

অধ্যাদেশ জারি / উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ করবে স্বতন্ত্র কাউন্সিল 

সাঁওতালদের জমি দখল ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শাস্তির দাবি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাট / নকআউট পর্বে কে যাবে, কে বাদ পড়বে? 

বেনজীরের রিসোর্টে এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের অভিযান

‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত কিনা ভাবতে হবে’

বাতিল হতে পারে অপ্রয়োজনীয় টেলিকম লাইসেন্স : বিটিআরসি চেয়ারম্যান

গাড়িতে ধাক্কা লাগায় মালিকের বিরুদ্ধে কুকুরের অভিনব প্রতিশোধ

সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লিটন, সাধারণ সম্পাদক মামুন

১১

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় / সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে শাস্তি

১২

‘নতুন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তৈরি হবে, থাকবে না মধ্যস্বত্বভোগী’

১৩

ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল

১৪

বিএনপি প্রতিবারই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে : নীরব

১৫

অতিথিদের সঙ্গে স্ত্রীদের রাত্রিযাপনে উৎসাহ দেওয়া হয় যেখানে

১৬

ট্রাম্পের শপথের পরদিনই ভিডিও কনফারেন্সে পুতিন-জিনপিং

১৭

আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে আলটিমেটাম

১৮

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট কেন প্রয়োজন?

১৯

গণহত্যাকারী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না : ডা. শফিকুর রহমান

২০
X