অবতরণের পর জেটব্লু এয়ারওয়েজের একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে বিমানটি অবতরণের পর নিয়মিত পরিদর্শনকালে মরদেহ দুটি পাওয়া যায়। পরে জেটব্লু এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায়।
জেটব্লু বলেছে, ওই ব্যক্তিরা কীভাবে বিমানটিতে প্রবেশ করেছিলেন তা জানতে তদন্ত চলছে। এটি একটি হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা বোঝার জন্য তদন্তের সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।
বিমানটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটরাডার-২৪-এর তথ্য মতে, এয়ারবাসটি সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে কেনেডি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। সে সময় নিউইয়র্কে রাতের তাপমাত্রা ছিল হিমশীতল। এটি ফোর্ট লডারডেলে পৌঁছায় সম্ভাব্য সময়ের কয়েক মিনিট দেরিতে রাত ১১টা ৩ মিনিটে। দুই ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের ফ্লাইটে বিমানটি প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
ওই দুজন বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে থেকে থাকলে বৈরী আবহাওয়াতেও মারা যেতে পারেন। কারণ, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের স্থানটি সব সময়ই প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য বিপজ্জনক বিবেচনা করা হয়।
প্রতিটি ফ্লাইটের আগে পাইলটদের বিমানের চারপাশে হাঁটার নিয়ম রয়েছে। তারা প্রতিটি অংশ দেখে ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রাথমিক সেই পরিদর্শনে লুকিয়ে থাকা দুজন সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যান।
ব্রোওয়ার্ড শেরিফের অফিস বলছে, নিহতরা উভয়েই পুরুষ এবং তাদের পরিচয় অজানা। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাদের শেষমুহূর্তের সঙ্গীদের পাওয়া গেলেও প্রকৃত ঘটনা জানা সহজ হবে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুই বিদেশি পর্যটকসহ তিনজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের অবস্থা গুরুতর। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক প্রধান রজার কুক ও পুলিশ কমিশনার কর্নেল ব্লাঞ্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে নৌপুলিশ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।
নিহতের মধ্যে দুই পর্যটক সুইস ও ডেনমার্কের নাগরিক। সুইস নারীর বয়স ৬৫ বছর এবং ডেনমার্কের পুরুষ পর্যটকের বয়স ৬০ বছর। আরেকজন ৩৪ বছর বয়সী পাইলট। বিমানটিতে ছয় পর্যটক ও একজন পাইলট ছিলেন। বাকি চারজনকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রজার কুক বলেন, প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি পাহাড়ে আঘাত করেছিল।
মন্তব্য করুন