মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় জয় পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের কানাডা দখলের খায়েশ জানিয়েছেন। তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চান।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কানাডাকে একীভূত করার পুরোনো ইচ্ছা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। এতে বিতর্কটি আবারও আলোচনায় এলো।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে থাকা কানাডার এক মন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প কানাডাকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে বিষয়টি সিরিয়াস কিছু নয়। তিনি মজা করেই এমন প্রস্তাব দেন।
কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেবল্যান্স বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মজা করছিলেন। তিনি আমাদের টিজ করছিলেন। এই ইস্যুতে এটা কোনোভাবেই সিরিয়াস মন্তব্য ছিল না।
কিন্তু এবার আবারও একই ধরনের কথা বলায় বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প কানাডাকে একীভূত করার সুফল জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের মতে, ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডা ৫১তম অঙ্গরাজ্য হলে মার্কিনিদের ‘মহান জাতি’-তে পরিণত হওয়া সম্ভব। কানাডা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত হয় তবে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে। আর এভাবেই আমেরিকানরা এগিয়ে যাবে।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, কানাডার অনেক মানুষই যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হতে চান। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং পদত্যাগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় নিজ বাসভবন রিডো কটেজে এক সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ট্রুডো বলেন, আমি মনে করি কানাডার জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে প্রকৃত পছন্দের নেতা খুঁজে বের করার দাবিদার।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, যদি আমাকে ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ লড়তে হয় তাহলে কানাডিয়ানদের জন্য ব্যালটে সেরা বিকল্প হতে পারবেন না। আমি অনেক ভেবেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।
জনগণের উদ্দেশে ট্রুডো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি আমার দেশ এবং আপনাদের জন্য লড়েছি। আমি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, তবে এখন দেশ এবং সময় পাল্টেছে। আমি মনে করি ‘নতুন সূচনা করার সময়’ এসেছে। তিনি বলেন, আশা করি আমার পদত্যাগ দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া উত্তাপ কমিয়ে আনবে। এমন একটি সরকার আসবে যারা কানাডার জনগণের সমস্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবে।
মন্তব্য করুন