যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে।
হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি জানিয়েছেন, কাতারের দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরায়েল এ আলোচনায় নতুন প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসন স্বাগত জানিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন মেয়াদের শেষ সময়ে এসে গাজায় যুদ্ধবিরতি আনতে এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে তৎপর। কিন্তু এরই মধ্যে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। খবর রয়টার্স।
অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রির প্যাকেজে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টারের সামরিক রসদ, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ছোট ডায়ামিটার বোমা অন্তর্ভুক্ত।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের নিজেদের সুরক্ষা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ইরান এবং তাদের সমর্থিত সংগঠনগুলোর হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
যুদ্ধের ভয়াবহতা
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫,৭১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে, আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
রাজনৈতিক পরিবর্তন আসন্ন
আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বৈত নীতি—একদিকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান, অন্যদিকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনা এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মন্তব্য করুন