যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোটেলের সামনে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার অন্যতম আধুনিক যান ‘সাইবার ট্রাক’ বিস্ফোরিত হয়। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুই স্থানে বন্দুক হামলা হওয়ায় ঘটনাটিও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ফলে জরুরি তদন্তে নামে এফবিআই।
সাইবার ট্রাক বিস্ফোরণ নিয়ে এফবিআই তাদের তদন্তের ফলাফল জানিয়েছে। বলেছে, বিস্ফোরণটির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক নেই। সাইবার ট্রাকচালক বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আর সেই চালক ছিলেন মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের সদস্য ম্যাথিউ লিভলসবার্গার। যিনি পিটিএসডিতে ভুগছিলেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তদন্তকারি দলের সদস্যরা লাস ভেগাসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণের সাথে সন্ত্রাসের কোনো যোগসূত্র পায়নি তদন্তকারীরা। ম্যাথিউ পিটিএসডিতে ভুগছিলেন। এটি এক ধরনের পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার। যা শারীরিক এবং মানসিকভাবে আহত কোনো মানুষের মধ্যে দু’সপ্তাহ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।
৩৭ বছর বয়সী ম্যাথিউ লিভলসবার্গার নববর্ষের দিন লাস ভেগাসে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোটেলের কাছে সাইবার ট্রাকটি দাঁড় করান। এরপর সেটি বিস্ফোরণ ঘটান। ঠিক একই মুহূর্তে নিজ মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। ট্রাকটি বিস্ফোরিত হলে পাশের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের কাঁচ ভেঙে সাতজন আহত হন।
তবে এফবিআই আরও তদন্ত চালাচ্ছে। তারা লিভলসবার্গারের ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন। এ ছাড়া অন্যান্য কোনো সূত্রও যোগ করার চেষ্টা করছেন। যাতে তার মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার গোড়ার দিকের তথ্য জানা যায়। এ ছাড়া তাকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে টেসলার সাইবার ট্রাকটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্রাকটিতে আগুন ধরে যায়।
হোটেলের ভেতরে ও বাইরে প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়িটি হোটেলের বাইরে দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের শিখা বের হতে থাকে। মুহূর্তে গাড়িটি পুড়ে যায়।
নিউ অরলিন্সে নববর্ষের দিন উদযাপনকারীদের ভিড়ের মধ্যে একটি ট্রাক চালিয়ে এবং গুলি করে ১৫ জনকে হত্যার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর টেসলার গাড়িতে আগুন লাগে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
মন্তব্য করুন