সিরিয়া দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। তার পদত্যাগের পর মার্কিন সেনাদের সিরিয়ায় অবস্থানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় অবস্থান করবে। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থানকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তারা দেশটিতে অবস্থান করবেন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা জন ফিনার নিউইয়র্কে এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেন, সেনারা নির্দিষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণে সেখানে রয়েছে, কোনো ধরনের দর কষাকষির জন্য নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন সেনারা সেখানে রয়েছে। আমরা এখনও সেই মিশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন সেনাদের সেখানে থাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা সেনারা এখনো দেশটিতে অবস্থান করবে।
এর আগে বাশার আল আসাদের পলায়নের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি সুযোগ এবং সংকট উভয় রয়েছে। বর্তমানে বিরোধীরা সঠিক কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আনন্দিত। তারা একটি ভবিষ্যৎ সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মধ্যপন্থি। তবে বিদ্রোহীরা তাদের এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে কি না তাও যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করবে।
তিনি বলেন, সিরিয়ার জনগণের দ্বারা পরিচালিত কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পুনর্গঠনে মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।
আলজাজিরার জানিয়েছে, সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ ঘাঁটিতে ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। তারা আসাদের পলায়নের দিনও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএলের অবস্থানকে নিশানা করে অন্তত ৭৫ হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তাদের ক্যাম্প ও অভিযানকে নিশানা করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সেন্টকম কমান্ডার মাইকেল কুরিলা বলেন, সিরিয়ার সমস্ত সংস্থার জানা উচিত যে তারা যদি আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে অংশীদারত্ব করে বা সমর্থন করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের জবাবদিহি করবে।
মন্তব্য করুন