যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে ব্যাপক হারে বেড়েছে অবৈধ অভিবাসন। কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে এক বছরে ৪৩ হাজারের বেশি ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা এবং মার্কিন সীমান্তে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের অবৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের মধ্যে এটি একটি প্রধান দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিভাগের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের তথ্যানুসারে, গত এক বছরে গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরর সংখ্যা ২২ শতাংশ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এবং বর্ডার প্রটেকশন বিভাগের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের অর্থবছরে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৫৩৫ জন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬ শতাংশ ছিলেন ভারতীয়। ২০২৩ সালেও এ হার অপরিবর্তিত ছিল। এ বছর দেশটিতে এক লাখ ৮৯ হাজার ৪০২ জন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ৩০ হাজার ১০ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে এ সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ বছর মোট এক লাখ ৯৮ হাজার ৯২৯ জন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে ভারতীয় রয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৬৪ জন। এ বছর এ সংখ্যা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত কর্মকর্তা এবং তাদের হাতে গ্রেপ্তারের ভিত্তিতে এ সংখ্যা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভিসা পেতে সময় বেশি লাগার কারণে মূলত অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এ পথ বেছে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে গড়ে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। অন্যদিকে বেশির ভাগ আবেদনকারী মাত্র ৭৬ দিনে কানাডার ভিসা হাতে পেয়ে যান। ফলে কানাডা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী।
এ ছাড়া মেক্সিকো সীমান্তের তুলনায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অপেক্ষাকৃত কম কড়াকড়ি। ফলে ঝামেলা এড়াতে এবং জটিলতা কম হওয়ার কারণে অনেকে এ পথ বেছে নেন।
মন্তব্য করুন