ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নানা কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম, ইরান নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে আছে। এমতাবস্থায় ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের একজন শীর্ষ কূটনীতিক। তবে ইরান এখন ওই বৈঠকের কথা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেয়ী মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের ইরানের দূতের আমির সাইদ ইরাভানি সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মাস্ক।
এ সময় মাস্ককে ইরানে এসে ব্যবসার আহ্বান জানান ইরাভানি। এ জন্য মার্কিন ট্রেজারি বিভাগকে ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করারও আহ্বান তিনি। এ বিষয়ে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চুয়েং বলেন, ব্যক্তিগত কোনো বৈঠকে হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করি না।
ওই মিটিংয়ের ঠিক পর পরই মাস্ককে নতুন তৈরি করা একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন ট্রাম্প। সরকারের সক্ষমতা মন্ত্রণালয় নামে নতুন এই বিভাগের কাজ হবে, মার্কিন সরকারের মধ্যে থাকা আমলাতন্ত্র কমিয়ে আনা।
কয়েক মাস আগে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চান। এখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলে দেবে।
মন্তব্য করুন