শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দ্বিতীয় মেয়াদে কেমন হবে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যনীতি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

চলমান গাজা যুদ্ধ বন্ধে বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। তবে যুদ্ধবিরতি চেষ্টার সবকটি প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় কোনোটি সফলতার মুখ দেখেনি। ফলে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কাতার থেকে হামাসের রাজনৈতিক অফিস উচ্ছেদ করতে দোহা প্রশাসনকে চাপ দেয় ওয়াশিংটন।

পরিস্থিতি যখন এই তখন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তার এই প্রতিশ্রুতিতে গাজা যুদ্ধ রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। তেমনি পরবর্তী ট্রাম্প প্রশাসন কতটা ফিলিস্তিনি স্বার্থ রক্ষা করবে এটিই এখন বড় প্রশ্ন।

আলজাজিরায় লেখা এক নিবন্ধে কানাডার ক্যালগারির মাউন্ট রয়েল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আয়াশ লিখেন, অনেকেই মনে করছেন এবারের ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের চেয়েও ফিলিস্তিনি ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়াবহ হবে। এ সময় তারা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের পররাষ্ট্রনীতির দিকে ইঙ্গিত করেন। লেখক জানান, যদি গত আট বছরে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে তাতে মৌলিক কোনা পরিবর্তন নেই।

মুহান্নাদ আয়াশ জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বর্তমানের চেয়ে খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা অনুসরণ করেছে কেবল। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি তিনটি মূলনীতির ওপর নির্ভর করে। প্রথমটি হল দ্বিরাষ্ট্র ব্যবস্থায় মার্কিন সমর্থন। তবে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করলে তা প্রত্যাহার করেনি বাইডেন প্রশাসন। ফলে ফিলিস্তিনি ভূমি অধিগ্রহণকে স্পষ্ট বৈধতা দেয়ার ইঙ্গিত দেয় মার্কিন প্রশাসন।

মধ্যপ্রাচ্য নীতির দ্বিতীয় উপাদান হলো, আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় আব্রাহাম অ্যাকর্ডের অধীনে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে বাইডেন প্রশাসনও তা চলমান রাখে। এমনকি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে জোরেশোরে প্রচেষ্টা চালায় ওয়াশিংটন, যা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও অধিকারের প্রশ্নকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।

তৃতীয় উপাদনটি হলো ইরানের প্রতি মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে যৌথ পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিল। একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের ওপর নির্বিচালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসে সেই চুক্তি পুনঃস্থাপন বা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কিছুই করেনি।

নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ট্রাম্পের ঘোষণা এবং রিপাবলিকান উপদেষ্টা, দাতা এবং সমর্থকদের উপর ভিত্তি মনে করা হচ্ছে ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রশ্ন নির্মূল করার জন্য আরও আগ্রাসী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের অর্থনৈতিক মুক্তির লোভ দেখানো হতে পারে এবং তাদের ওপর আরও বেশি সহিংসতার ভয় দেখানো হতে পারে মনে করা হচ্ছে। তবে এসবের খুব অল্প প্রতিক্রিয়াই পড়বে প্রতিরোধ সংগ্রামের ওপর।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উইন্ডিজের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশের স্বস্তি

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

১০

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১১

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১২

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১৩

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৪

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

১৫

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

১৬

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

১৭

মাদকাসক্ত ছেলেকে কারাগারে দিলেন মা

১৮

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৯

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ

২০
X