প্রথম মেয়াদে পাগলা ও ক্ষ্যাপাটে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৭তম বাসিন্দা হিসেবে আবারও হোয়াইট হাউসের চাবি দখল করেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে এবারও আগের মতোই বিতর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করতে বিশেষ এক বৈঠক ডেকেছে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতায় আসলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষা ও অভিবাসীদের তাড়াতে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং অরাজনৈতিক সরকারি কর্মীদের একটি বড় অংশকে ছাঁটাইয়ের আদেশ দিতে পারেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। এ সময় প্রশাসনে ব্যাপক হারে অনুগত কর্মচারী নিয়োগের ইঙ্গিতও দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথম মেয়াদের ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সম্পর্ক অনেকটাই তিক্ত ছিল। যার মধ্যে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মার্ক মিলি। যিনি জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ থাকাকালীন পারমাণবিক বোমা ব্যবহারে ট্রাম্পের ক্ষমতা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ট্রাম্প বরাবরই মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদরে অযোগ্য ও অদক্ষ বলে তিরস্কার করে আসছেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, তারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
তবে এসব কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো কেউ জানে না। ট্রাম্পের বিজয়ের পর পেন্টাগনে প্রশ্ন উঠেছে যে- তিনি যদি কোনো বেআইনি আদেশ দেন তবে কী হবে? যদিও একজন সেনাদের বেআইনি আদেশ অমান্য করার অধিকার আইনেই আছে। তবে প্রশ্ন হলো, এরপর কী হবে। আমরা কি জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের পদত্যাগ করতে দেখব?’
পেন্টাগনকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার ট্রাম্প কাকে দেন, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবু কর্মকর্তারা আশা করেন, ট্রাম্প ও তার নিয়োগ করা কর্মকর্তারা সামরিক নেতাদের সঙ্গে ‘বৈরী’ সম্পর্ক এড়ানোর চেষ্টা করবেন; যেমনটা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দেখা গেছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউস ও প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক ছিল সত্যিকার অর্থে খারাপ। তিনি জানান, এখন ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য কর্মী বাছাই করবে সেটেই পেন্টাগন কর্মকর্তাদের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়।
মন্তব্য করুন