হোয়াইট হাউসে বসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছেন, তা শুধু নিজ দেশের সাধারণ মানুষকে নয়, বিশ্ববাসীকেও বেশ আকৃষ্ট করেছে। কারণ একের পর এক যুদ্ধ দেখে যেন সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণেও বলেছেন, ‘আমি যুদ্ধ শুরু করব না, যুদ্ধ থামাব।’ তবে ট্রাম্প নিজে কীভাবে ‘একদিনে’ ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন, সে ব্যাখ্যা অবশ্য কখনো দেননি। বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, ট্রাম্প যেহেতু চান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হোক, সে ক্ষেত্রে তিনি ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন। এ সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিশ্লেষকদের লেখায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এভাবে ইউক্রেনকে চাপে ফেলে যুদ্ধের সমাপ্তি টানার হয়তো একটা পরিকল্পনা তার আছে। কিন্তু এ পরিকল্পনা কতটা বাস্তবসম্মত, তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেইসঙ্গে তিনি যেহেতু যুদ্ধ থামাতে চান, সে ক্ষেত্রে গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধের বিষয়টিও সামনে আসে। ইসরায়েলের অন্ধ সমর্থক ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ থামাতে পারবেন—এটা বিশ্বাস করার মতো মানুষ অনেক কম। তার পরও তার কথার ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন বিশ্ববাসী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সেখানে মানুষ অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। সম্প্রতি লেবাননেও হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তাই শুধু যুদ্ধ ইউক্রেনে বন্ধ করলেই হবে না, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে গাজাতেও। এ বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্ববাসী। তবে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের শিরোনাম হচ্ছে, ‘ট্রাম্পের জয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জয়।’ আর এটা যদি শেষ পর্যন্ত নেতানিয়াহুরই জয় হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ নিকট ভবিষ্যতে সম্ভব কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন।
মন্তব্য করুন