কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চিফ অব স্টাফের নাম ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সুসি ওয়াইলস । ছবি : সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সুসি ওয়াইলস । ছবি : সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চিফ অফ স্টাফের নাম ঘোষণা করেছেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ট্রাম্প তার হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের নাম আগাম ঘোষণা করেছেন। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, সুসি ওয়াইলস আমার হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আমাকে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয় অর্জনে তিনি সাহায্য করেছেন। সুসি কঠোর, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও সম্মানিত। সুসি আমেরিকাকে আবার মহান করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবেন।

সুসি ওয়াইলস এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারাভিযান পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ৬৭ বছর বয়সী ওয়াইলস দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরিডার রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রিগানের ১৯৮০ সালের নির্বাচনী প্রচারেও কাজ করেছিলেন।

এদিকে ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পেতে পারেন তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। এজন্য রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রিসভার রূপরেখা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেন স্কট বেসেন্ট। তিনি বেশ কয়েক ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ ছাড়া বর্তমানে ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল ফান্ডিংও করেছেন তিনি।

এ ছাড়া সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে আরও দুজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন জন পলসন ও ল্যারি কুডলো। এরমধ্যে জন পলসন একজন ধনকুবের এবং হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক। এ ছাড়া তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের বড় জোগানদাতাও। বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে অন্যতম ঘনিষ্ঠজন রিচার্ড গ্রেনেলকে পছন্দ করার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। কারণ তার পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের অন্যতম গ্রেনেল। তাকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মনে করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে হচ্ছেন, কেমন তার চিন্তাভাবনা, সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর থাকে বিশ্ববাসীর। এই পদে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্ত উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েনকে ধারণা করছেন কেউ কেউ। তবে টেনেসির এই সিনেটর বিল হ্যাগারটিকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কাজে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।

রয়টার্স ধারণা করছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার দৌড়ে তিনি ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও ঘোর সমালোচক। রুবিও পরবর্তীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুঝতে পেরেই টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন লোটাস কামাল

ভাবিকে বিয়ে করতে বড় ভাইকে খুন, গ্রেপ্তার ৩

এ সপ্তাহের হলিউড-বলিউড

এখনই বিদেশে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

ট্রাম্পের বিজয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারে ন্যাটো

মহানন্দার দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা

আসছে শৈত্যপ্রবাহ, কিন্তু কবে?

ট্রাম্পের জয় নিয়ে যা বললেন পুতিন

রংপুরে জাপা-গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তাপ

র‍্যালি শেষে বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান

১০

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত?

১১

ইউক্রেন যুদ্ধের লাগাম টানতে পারেন ট্রাম্প, কী হবে গাজার

১২

প্রভাষক নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থাকছে না বয়সসীমা

১৩

ফ্রিজে বাসি দই, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

১৪

হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চিফ অব স্টাফের নাম ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

১৫

শিক্ষকের বাসা থেকে ১৮৩ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার

১৬

অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াবেন ট্রাম্প, আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে

১৭

প্রেমের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে আজ যাদের

১৮

চাকরি দিচ্ছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন

১৯

দুপুরে বিএনপির র‍্যালি, যাবে যেসব সড়ক দিয়ে

২০
X