মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আগামীতে মার্কিন মসনদে বসতে যাচ্ছেন তিনি। তার নতুন মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পেতে পারেন তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। এজন্য রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রিসভার রূপরেখা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেন স্কট বেসেন্ট। তিনি বেশ কয়েক ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ ছাড়া বর্তমানে ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল ফান্ডিংও করেছেন তিনি।
এ ছাড়া সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে আরও দুজনের নাম রয়েছে। তারা হলেন জন পলসন ও ল্যারি কুডলো। এরমধ্যে জন পলসন একজন ধনকুবের এবং হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক। এ ছাড়া তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থের বড় জোগানদাতাও। বিভিন্ন সময়ে তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী।
এ ছাড়া ল্যারি কুডলো মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের বিজনেস নেটওয়ার্ক নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। এ ছাড়া ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠজন। গত মেয়াদে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনীতি কাউন্সিলের পরিচালক ছিলেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে অন্যতম ঘনিষ্ঠজন রিচার্ড গ্রেনেলকে পছন্দ করার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের। কারণ তার পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের অন্যতম গ্রেনেল। তাকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে মনে করা হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে হচ্ছেন, কেমন তার চিন্তাভাবনা, সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর থাকে বিশ্ববাসীর। এই পদে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্ত উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েনকে ধারণা করছেন কেউ কেউ। তবে টেনেসির এই সিনেটর বিল হ্যাগারটিকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কাজে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।
রয়টার্স ধারণা করছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার দৌড়ে তিনি ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও ঘোর সমালোচক। রুবিও পরবর্তীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
সম্ভাব্য মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেশ কয়েকজনকে ভাবা হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য মাইক ওয়াল্টজ। এর বাইরে রয়েছেন সাবেক সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও। নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প পম্পেওকে সিআইএর পরিচালক এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। সেটা না করলেও এবার জাতীয় নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বা কূটনীতিসংশ্লিষ্ট পদে তাকে বসানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। কারণ প্রথম মেয়াদে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন তিনি। একই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পদে মার্ক গ্রিনকেও দেখা যেতে পারে বলে মনে করছে রয়টার্স। গ্রিন বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক কমিটির চেয়ারমান।
মন্তব্য করুন